৬৫। মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানি পত্র লিখলেন অথবা একখানি পত্র লিখতে মনস্থ করলেন। তখন তাঁকে বলা হল যে, তারা (রোমবাসী ও অনারবরা) সীলমোহরযুক্ত ছাড়া কোন পত্র পড়ে না। এরপর তিনি রূপার একটি আংটি (মোহর) তৈরী করালেন যার নকশা ছিল (مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ) আমি যেন তাঁর হাতে সে আংটির ঔজ্জ্বল্য (এখনও) দেখতে পাচ্ছি। [শু’বা (রহঃ) বলেন] আমি কাতাদ (রহঃ)-কে বললাম, কে বলেছে যে, তার নকশা (مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ) ছিল? তিনি বললেন, আনাস (রাঃ)।
৬৬। ইসমা’ঈল (রহঃ) ... আবূ ওয়াকিদ আল-লায়সী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার মসজিদে বসেছিলেন; তাঁর সঙ্গে আরও লোকজন ছিলেন। ইতিমধ্যে তিনজন লোক এলেন। তন্মধ্যে দু’জন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে এগিয়ে এলেন এবং একজন চলে গেলেন। আবূ ওয়াকিদ (রাঃ) বলেন, তাঁরা দু’জন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। এরপর তাঁদের একজন মজলিসের মধ্যে কিছুটা জায়গা দেখে সেখানে বসে পড়লেন এবং অন্যজন তাদের পেছনে বসলেন। আর তৃতীয় ব্যাক্তি ফিরে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিস শেষ করে (সাহাবায়ে কিরামকে লক্ষ্য করে) বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এই তিন ব্যাক্তি সম্পর্কে কিছু বলব? তাদের একজন আল্লাহর দিকে এগিয়ে এসেছে তাই আল্লাহ্ তাকে স্থান দিয়েছেন। অন্যজন (ভীড় ঠেলে অগ্রসর হতে অথবা ফিরে যেতে) লজ্জাবোধ করেছে, তাই আল্লাহও তার ব্যাপারে (তাকে শাস্তি দিতে এবং রহমত থেকে বঞ্চিত করতে) লজ্জাবোধ করেছেন। আর অপরজন (মজলিসে হাজির হওয়া থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই আল্লাহ্ও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
৬৭। মূসা’দ্দাদ (রহঃ) ... আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা উল্লেখ করে বলেন, (মিনায়) তিনি তাঁর উটের ওপর বসেছিলেন। একজন লোক তাঁর উটের লাগাম ধরে রেখেছিল। তিনি বললেনঃ আজ কোন্ দিন?’ আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করলাম যে, এ দিনটির আলাদা কোন নাম তিনি দিবেন। তিনি বললেনঃ “এটা কুরবানীর দিন নয় কি?” আমরা বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এটা কোন্ মাস?’ আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করতে লাগলাম যে, তিনি হয়ত এর (প্রচলিত) নাম ছাড়া অন্য কোন নাম দিবেন। তিনি বললেনঃ এটা যিলহাজ্জ নয় কি?’ আমরা বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ জেনে রাখ! তোমাদের জান, তোমাদের মাল, তোমাদের সন্মান তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম, যেমন আজকের এ মাস, তোমাদের এ শহর, আজকের এ দিন সন্মানিত। এখানে উপস্থিত ব্যাক্তি (আমার এ বাণী) যেন অনুপস্থিত ব্যাক্তির কাছে পৌঁছে দেয়। কারন উপস্থিত ব্যাক্তি হয়ত এমন এক ব্যাক্তির কাছে পৌঁছাবে, যে এ বাণীকে তার থেকে বেশি মুখস্থ রাখতে পারবে।
৬৮। মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ (রহঃ) ... ইবন মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রেখে নির্দিষ্ট দিনে ওয়ায-নসীহত করতেন, আমরা যাতে বিরক্ত না হই।
৬৯। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা (দ্বীনের ব্যাপারে) সহজ পন্থা অবলম্বন করবে, কঠিন পন্থা অবলম্বন করবে না, মানুষকে সুসংবাদ শোনাবে, বিরক্তি সৃষ্টি করবে না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন