এক রাতে নবী করীম (সাঃ) ঘুম থেকে জেগে বলেন সুবহানআল্লাহ! | Bukhari Sharif...



১১৫। ইয়াহইয়া ইবনু সুলায়মান (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রোগ যখন বেড়ে গেল তখন তিনি বললেনঃ আমার কাছে কাগজ কলম নিয়ে এস, আমি তোমাদের এমন কিছু লিখে দিব যাতে পরবর্তীতে তোমরা ভ্রান্ত না হও। ‘উমর (রাঃ) বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রোগ যন্ত্রণা প্রবল হয়ে গেছে (এমতাবস্থায় কিছু বলতে বা লিখতে তাঁর কষ্ট হবে)। আর আমাদের কাছে তো আল্লাহর কিতাব রয়েছে, যা আমাদের জন্য যথেষ্ট। এতে সাহাবীগণের মধ্য মতবিরোধ দেখা দিল এবং শোরগোল বেড়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আমার কাছ থেকে উঠে যাও। আমার কাছে ঝগড়া-বিবাদ করা উচিত নয়। এ পর্যন্ত বর্ণনা করে ইবনু আব্বাস (রাঃ) (যেখানে বসে হাদীস বর্ণনা করছিলেন সেখান থেকে) এ কথা বলতে বলতে বেরিয়ে গেলেন যে, ‘হায় বিপদ, সাংঘাতিক বিপদ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর লেখনীর মধ্যে যা বাধ সেধেছে।

১১৬। সাদাকা, ‘আমর ও ইয়াহিয়া ইবনু সা‘ঈদ (রহঃ) .... উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক রাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জেগে বলেনঃ সুবহানআল্লাহ! এ রাতে কতই না বিপদাপদ নেমে আসছে এবং কতই না ভান্ডার খুলে দেওয়া হচ্ছে! অন্য সব ঘরের মহিলাগণকেও জানিয়ে দাও, বহু মহিলা যারা দুনিয়ায় বস্ত্র পরিহিতা, তারা আখিরাতে হবে বস্ত্রহীনা।

১১৭। সা‘ঈদ ইবনু ‘উফায়র (রহঃ) ... ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবনের শেষের দিকে আমাদের নিয়ে ‘ইশার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। সালাম ফিরাবার পর তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, তোমরা কি এ রাতের সম্পর্কে জানো? বর্তমানে যারা পৃথিবীতে রয়েছে, একশ বছরের মাথায় তাদের কেউ আর বাকী থাকবে না।

১১৮। আদম (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আমার খালা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী মায়মূনা বিন্‌ত হারিস (রাঃ)-এর ঘরে এক রাত্রি যাপন করছিলাম। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পালার রাতে সেখানে ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ইশার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে তাঁর ঘরে চলে আসলেন এবং চার রাক‘আত সালাত আদায় করে শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর উঠে বললেনঃ বালকটি কি ঘুমিয়ে গেছে? বা এ ধরনের কোন কথা বললেন। তারপর (সালাতে) দাঁড়িয়ে গেলেন, আমিও তাঁর বাঁ দিকে গিয়ে দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে তাঁর ডান দিকে এনে দাঁড় করালেন। তারপর তিনি পাঁচ রাক‘আত সালাত আদায় করলেন। পরে আরো দু’ রাক‘আত আদায় করলেন। এরপর শুয়ে পড়লেন। এমনকি আমি তাঁর নাক ডাকার শব্দ শুনতে পেলাম। এরপর উঠে তিনি (ফজরের) সালাতের জন্য বের হলেন।



মন্তব্যসমূহ