তার জন্য আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম হারাম করে দিবেন।



১২৫। উসমান (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক ব্যাক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ কোনটি, কেননা আমাদের কেউ লড়াই করে রাগের বশীভূত হয়ে, আবার কেউ লড়াই করে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য। তিনি তার দিকে মাথা তুলে তাকালেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাঁর মাথা তোলার কারণ ছিল যে, সে ছিল দাঁড়ানো। এরপর তিনি বললেনঃ আল্লাহর দ্বীনকে বুলন্দ করার জন্য যে যুদ্ধ করে সেই আল্লাহর রাস্তায়।

১২৬। আবূ নু‘আয়ম (রহঃ) ... ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখলাম, জামরার নিকট তাঁকে মাস‘আলা জিজ্ঞাসা করা হছে। এক ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করলঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কংকর মারার আগেই কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ কংকর মার, তাতে কোন ক্ষতি নেই। অন্য এক ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করলঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কুরবানী করার পূর্বেই মাথা মুড়ে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ কুরবানী করে নাও, কোন ক্ষতি নেই। বস্তুত আগে পিছু করার যে কোন প্রশ্নই তাঁকে করা হচ্ছিল, তিনি বলছিলেনঃ কর, কোন ক্ষতি নেই।

১২৭। কায়স ইবনু হাফস (রহঃ) ... ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মদিনার বসতিহীন এলাকা দিয়ে চলছিলাম। তিনি একখানি খেজুরের ডালে ভর দিয়ে একদল ইয়াহুদীর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তারা একজন অন্যজনকে বলতে লাগল, তাঁকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কর। আর একজন বলল, তাঁকে কোন প্রশ্ন করো না, হয়ত এমন কোন জওয়াব দিবেন যা তোমার পছন্দ করো না। আবার তাদের কেউ কেউ বলল, তাঁকে আমরা প্রশ্ন করবই। তারপর তাদের মধ্য থেকে এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আবূল কাসিম! রূহ কী? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ করে রইলেন, আমি মনে মনে বললাম, তাঁর প্রতি ওহী নাযিল হচ্ছে। তাই আমি দাঁড়িয়ে রইলাম। তারপর যখন সে অবস্থা কেটে গেল তখন তিনি বললেনঃ
وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ الرُّوحِ قُلْ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتُوا مِنْ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا
তারা তোমাকে রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, রূহ আমার প্রতিপালকের আদেশঘটিত। এবং তাদেরকে সামান্যই জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। (সূরা ইসরাঃ ৮৫)।
আ‘মাশ (রহ.) বলেন, এভাবেই আয়াতটিকে আমাদের কিরাআতে أُوْتِيْتُمْ -এর স্থলে أُوْتُوْ পড়া হয়েছে।

১২৮। উবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা (রহঃ) .... আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ইবনু যুবায়র (রাঃ) আমাকে বললেন, ‘আয়িশা (রাঃ) তোমাকে অনেক গোপন কথা বলতেন। বল তো কাবা সম্পর্কে তোমাকে কী বলেছেন? আমি বললাম, তিনি আমাকে বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘আয়িশা! তোমাদের কওম যদি (ইসলাম গ্রহণে) নতুন না হত, ইবনু যুবায়র বলেনঃ কুফর থেকে; তবে আমি কাবা ভেঙ্গে ফেলে তার দুটি দরজা বানাতাম। এক দরজা দিয়ে লোক প্রবেশ করত আর এক দরজা দিয়ে বের হত। (পরবর্তীকালে মক্কার আধিপত্য পেলে) তিনি এরূপ করেছিলেন।

আলী (রাঃ) বলেন, ‘মানুষের নিকট সেই ধরনের কথা বল, যা তারা বুঝতে পারে। তোমরা কি পছন্দ কর যে, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি মিথ্যা আরোপ করা হোক?

১২৯। এ হাদীস উবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা (রহঃ) .... ‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন।


১৩০। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার মু‘আয (রাঃ), নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সাওয়ারীতে উপবিষ্ট ছিলেন, তখন তিনি তাঁকে ডাকলেন, হে মু‘আয ইবনু জাবাল! মু‘আয (রাঃ) উত্তর দিলেন, ‘আমি হাযির ইয়া রাসূলাল্লাহ! এবং (আপনার আদেশ পালনের জন্য) প্রস্তুত। তিনি ডাকলেন, মু‘আয! মু‘আয (রাঃ) উত্তর দিলেন, ‘আমি হাযির ইয়া রাসূলাল্লাহ এবং প্রস্তুত। তিনি আবার ডাকলেন, মু‘আয। তিনি উত্তর দিলেন, ‘আমি হাযির ইয়া রাসূলাল্লাহ এবং প্রস্তুত। এরূপ তিনবার করলেন।

এরপর বললেনঃ যে কোন বান্দা আন্তরিকতার সাথে এ সাক্ষ্য দেবে যে, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল’ তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। মু‘আয (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি মানুষকে এ খবর দেব না, যাতে তারা সুসংবাদ পেতে পারে?’ তিনি বললেন, ‘তাহলে তারা এর উপর ভরসা করে বসে থাকবে।’ মু‘আয (রাঃ) (জীবনভর এ হাদিসটি বর্ণনা করেন নি) মৃত্যুর সময় এ হাদিসটি বর্ণনা করে গেছেন যাতে (ইল্‌ম গোপন রাখার) গুনাহ না হয়।





মন্তব্যসমূহ