৩৬। ইসমা’ঈল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি রমযানের রাতে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পূর্বের গুনাহ্ মাফ করে দেওয়া হয়।
৩৭। ইবনু সালাম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যাক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমযানের সিয়াম পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
৩৮। আবদুস সালাম ইবনু মুতাহ্হার (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ নিশ্চয়ই দ্বীন সহজ-সরল। দ্বীন নিয়ে যে কড়াকড়ি করে দ্বীন তার উপর বিজয়ী হয়। কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং (মধ্যপন্থার) নিকটবর্তী থাক, আশান্বিত থাক এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের কিছু অংশে (ইবাদতের মাধ্যমে) আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর।
৩৯। ‘আমর ইবনু খালিদ (রহঃ) ... বারা ইবনু ‘আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরত করে সর্বপ্রথম আনসারদের মধ্যে তাঁর নানাদের গোত্র [আবূ ইসহাক (রহঃ) বলেন] বা মামাদের গোত্রে এসে ওঠেন। তিনি ষোল-সতের মাস বায়তুল মুকাদ্দসের দিকে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। কিন্তু তাঁর পছন্দ ছিল যে, তাঁর কিবলা বায়তুল্লাহ্র দিকে হোক। আর তিনি (বায়তুল্লাহ্র দিকে) প্রথম যে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন, তা ছিল আসরের সালাত (নামায/নামাজ) এবং তাঁর সঙ্গে একদল লোক উক্ত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। তাঁর সঙ্গে যাঁরা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছিলেন তাঁদের একজন লোক বের হয়ে এক মসজিদে মুসল্লীদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁরা তখন রুকু’র অবস্থায় ছিলেন।
তখন তিনি বললেনঃ “আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, এইমাত্র আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মক্কার দিকে ফিরে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে এসেছি। তখন তাঁরা যে অবস্থায় ছিলেন সে অবস্থায়ই বায়তুল্লাহ্র দিকে ঘুরে গেলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন তখন ইয়াহূদীদের ও আহলি কিতাবদের কাছে এটা খুব ভাল লাগত; কিন্তু তিনি যখন বায়তুল্লাহ্র দিকে (সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য) তাঁর মুখ ফিরালেন তখন তারা এর প্রতি চরম অসন্তুষ্ট হল।
যুহায়র (রহঃ) বলেন, আবূ ইসহাক (রহঃ) বারা (রাঃ) থেকে আমার কাছে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাতে এ কথাও রয়েছে যে, কিবলা পরিবর্তনের পূর্বে বেশ কিছু লোক ইন্তেকাল করেছিলেন এবং শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের ব্যাপারে আমরা কি বলব, বুঝতে পারছিলাম না, তখন আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করেনঃ (وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ) “আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের সালাত (নামায/নামাজ)-কে (যা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে আদায় করা হয়েছিল) বিনষ্ট করবেন না।”
৪০। ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উত্তমরূপে ইসলামের উপর কায়েম থাকে তখন সে যে নেক আমল করে তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে সাতশ গুণ পর্যন্ত (সওয়াব) লেখা হয়। আর সে যে মন্দ কাজ করে তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে তার জন্য ঠিক ততটুকুই মন্দ লেখা হয়।

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন