মক্কাকে আল্লাহ তাআলা হারাম করেছেন। কোন মানুষ তাকে হারাম করেননি



১০১। ইসমা‘ঈল ইবনে আবু উওয়ায়স (রাহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ্ তা‘আলা বান্দার অন্তর থেকে ইল্‌ম বের করে উঠিয়ে নেবেন না; বরং আলিমদের উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমেই ইল্‌ম উঠিয়ে নেবেন। যখন কোন আলিম বাকী থাকবে না তখন লোকেরা জাহিলদেরই নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে। তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে, তারা না জেনেই ফতোয়া দিবে। ফলে তারা নিজেরাও গোমরাহ হবে, আর অপরকেও গোমরাহ করবে।

১০২। আদম (রাহঃ) ... আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ মহিলারা একবার নবী করীম (ﷺ)-কে বলল, পুরুষেরা আপনার কাছে আমাদের চাইতে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। তাই আপনি নিজে আমাদের জন্য একটি দিন ধার্য করে দিন। তিনি তাদের বিশেষ একটি দিনের ওয়াদা করলেন; সে দিন তিনি তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করলেন এবং তাদের ওয়ায-নসীহত করলেন ও নির্দেশ দিলেন। তিনি তাদের যা যা বলেছিলেন, তার মধ্যে একথাও ছিল যে, তোমাদের মধ্যে যে স্ত্রীলোক তিনটি সন্তান আগেই পাঠাবে, তারা তার জন্য জাহান্নামের পর্দাস্বরূপ হয়ে থাকবে। তখন এক স্ত্রীলোক বলল, আর দু’টি পাঠালে? তিনি বললেনঃ দু’টি পাঠালেও।

১০৩। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আবু সা‘ঈদ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

আবদুর রহমান আল-আসবাহানী (রাহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এমন তিন সন্তান, যারা সাবালক হয়নি।

১০৪। সা‘ঈদ ইবনে আবু মারয়াম (রাহঃ) .... ইবনে আবু মুলায়কা (রাহঃ) বলেন, নবী করিম (ﷺ) এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাযিঃ) কোন কথা শুনে বুঝতে না পারলে বার বার প্রশ্ন করতেন। একবার নবী করীম (ﷺ) বললেন, “(কিয়ামতের দিন) যার হিসাব নেয়া হবে তাকে আযাব দেওয়া হবে।” ‘আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ্ তা‘আলা কি ইরশাদ করেননি, (فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا) (তার হিসার-নিকাশ সহজেই নেয়া হবে) (৮৪ : ৮)। তখন তিনি বললেনঃ তা কেবল হিসাব পেশ করা। কিন্তু যার হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে নেয়া হবে সে ধবংস হবে।

১০৫। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ... আবু শুরায়হ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ‘আমর ইবনে সা‘ঈদ (মদীনার গভর্নর)-কে বললেন, যখন তিনি মক্কায় সেনাবাহিনী প্রেরণ করছিলেন— ‘হে আমীর! আমাকে অনুমতি দিন, আমি আপনাকে এমন একটি হাদীস শোনাব, যা মক্কা বিজয়ের পরের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন। আমার দু’ কান তা শুনেছে, আমার অন্তর তা স্মরণ রেখেছে, আর আমার দু’ চোখ তা দেখেছে। তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করে বললেনঃ মক্কাকে আল্লাহ্ তা‘আলা হারাম করেছেন, কোন মানুষ তাকে হারাম করেনি। তাই যে লোক আল্লাহর উপর এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে তার জন্য সেখানে রক্তপাত করা এবং সেখানকার কোন গাছপালা কাটা হালাল নয়।

কেউ যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর (সেখানকার) লড়াইকে দলীল হিসেবে পেশ করে তবে তোমরা বলে দিও যে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর রাসূলকে এর অনুমতি দিয়েছিলেন; কিন্তু তোমাদের অনুমতি দেননি। আমাকেও সে দিনের কিছু সময়ের জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। তারপর আগের মতো আজ আবার এর নিষেধাজ্ঞা ফিরে এসেছে। উপস্থিত ব্যাক্তিরা যেন অনুপস্থিত ব্যাক্তিদের কাছে (এ বাণী) পৌঁছে দেয়। তারপর আবু শুরাইয়া (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘আপনার এ হাদীস শুনে ‘আমর কি বলল?’ (আবু শুরায়হ (রাযিঃ) উত্তর দিলেন) সে বললঃ ‘হে আবু শুরায়হ! (এ বিষয়ে) আমি তোমার চাইতে ভাল জানি। মক্কা কোন বিদ্রোহীকে, কোন খুনের পলাতক আসামীকে এবং কোন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দেয় না।


মন্তব্যসমূহ